নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পোল্ট্রি খামারে স্বপ্ন ভুনে ছিলেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র রবিউল হাসান। চেয়েছিলেন লেখা-পড়ার পাশাপাশি গ্রামের বাড়ি আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের পূর্ব তাবালের চরে নিজস্ব উদ্যোগে পোল্ট্রি খামার স্থাপন করে স্বাবলম্বী হতে। শুরুটাও করেছিলেন সুন্দরভাবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে শতাধিক দেশি মুরগির বাচ্চা তুলেছিলেন খামারে। প্রতিটি মুরগির বয়স এখন পাঁচ মাসে পড়েছে। মুরগিগুলো ডিম দিতে শুরু করেছে। তরুন এই উদ্যোক্তার মুখের হাসি কেড়ে নিল কিছু ভেজাল পোল্ট্রি খাবার। খাদ্য খেয়ে গতরাতে মারা গেছে অর্ধেক মুরগি। বাকিগুলোর অবস্থাও আশংকাজনক। তাতেই মৃত্যু হয়েছে একটি স্বপ্নের।
রবিউল বলেন,যখন করোনার সময় আমার ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায় তখন বাড়িতে অবসর সময়টা কাজে লাগানোর জন্য ছোট করে স্বপ দেখেছিলাম। তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলাম দেশি মুরগির খামারটি। চেয়েছিলাম নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলার। এক নিমিষে সব শেষ হয়ে গেল।
তিনি জানান, গত ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার সময় চট্টগ্রাম শহরের নতুন চাকতাই, ৩ নং নওজোয়ান প্লাজা পূবালী ব্যাংকের নীচে, আকিল এন্টারপ্রাইজ থেকে খামারের জন্য ১ বস্তা গম ভাঙ্গা, ১ বস্তা ভুট্টা ভাঙ্গা, ১ বস্তা ভুট্টা মিলিং, ১ বস্তা সয়ামিল কিনেন। বাড়ি ফিরে ঐ দিন বিকালে গম ভাঙ্গা ও ভুট্টা ভাঙ্গা আইটেম থেকে ২০ কেজির মত। আর ভুট্টা মিলিং ১৫ কেজি এবং সোয়াবিন ১০ কেজি নিয়ে সব একসাথে মিক্সড করে রাতে পরিমাণ মত মুরগি গুলোকে খেতে দেন।
কয়েকটি ছাড়া বাকি সব মুরগি মোটামুটি ভালো করে খাওয়াতে তিনি মনে মনে খুশি হন। কিন্তু
পরের দিন সকালে খামারে গিয়ে ৪০টি মুরগি মারা গেছে দেখে তিনি হতাশায় ভেঙে পড়েন।
তিনি জানান, খাবারগুলো খাওয়ার পর মারা যাওয়া সব গুলো মুরগির মুখ, নাক, চোখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। সবগুলো মুরগির ওজন এক কেজির উপরে। কয়েকটা গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ডিম দিতে শুরু করেছিল। বাকি গুলোও ১০/১৫ দিনের মধ্যে ডিমে চলে আসতো।
Leave a Reply