মহেশখালী প্রতিনিধি
মহেশখালীর কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলাস্থ নতুন চালিয়াতলী ঘোনায় স্বার্থান্বেষী মহলের যোগসাজশে প্রকাশ্য ইজরাকৃত ডাকের চেয়ে কম মূল্যের দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ইজরাদার শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১০নভেম্বর ২০ইং স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের নির্দেশনায় প্রশাসন ও উপস্থিতির মধ্যেই প্রকাশ্যেই নিলামে ৮৩ লক্ষ ৫০হাজার টাকায় সর্বোচ্চ ডাককারী হিসাবে নতুন চালিয়াতলী ঘোনা ২০২১ সনের জন্য ইজরা নেন চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
খোজ নিয়ে জানা যায়, উত্তর নলবিলাস্থ সাফকাটা-টেইট্টা ঘোনা ও নতুন চালিয়াতলী ঘোনা পরিচালনা কমিটির শর্ত মেনে ডাকে অংশগ্রহণ করার সময় ৩লক্ষ টাকা কমিটি বরাবর জামানত হিসাবে ডাকে অংশ গ্রহণ করিয়া সর্বোচ্চ ডাককারী হিসাবে বিজয়ী হিসাবে ৫০ভাগ টাকা নগদ/চেকের মাধ্যমে কমিটি বরাবর জমা প্রদান করেন।বাকী অর্ধেক টাকা ২৫/১১/২০ইং পরিচালনা কমিটি বরাবর জমা করার জন্য লিখিত দেন।
পরিচালানা কমিটির শর্তে আরো উল্লেখ আছে যে,বিজয়ী ডাককারী আগামী ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের ১ম সপ্তাহে ঘোনার দখল বুঝিয়ে দিবেন।এবং ইজরাকৃত ঘোনার মেয়াদকাল আগামী ৩১/১২/২১ইং পর্যন্ত। এর ব্যতিক্রম হলে ডাককারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। লবণ মৌসুমে মৎস চাষের জন্য পানি ঢুকাতে হবে যাতে লবণ চাষীদের ক্ষতি না হয়। সেই সংক্রান্ত আলাদা হলফনামা কমিটি বরারব সম্পাদন করিতে হবে। এছাড়াও ঘোনার ক্ষতিকারক কোন ব্যক্তি বা মহলের সাথে যোগসাজশে ঘোনার ক্ষতি করা হলে ডাককারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। ডাককারীকে ডাকের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পর আগামী ০৫/০১/২০২১ইং তারিখে পরিচালনা কমিটির সাথে লিখিত চুক্তি সম্পাদন করার জন্য উল্লেখ করেন। উপরোক্ত সকল শর্ত মেনে গত ১০শে নভেম্বর ২০২০ইং তারিখে সর্বোচ্চ ডাককারী হিসাবে ইজরা নেন শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
কিন্তু তিনি প্রথম কিস্তির ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহ জামানতের ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে ৪৩ লক্ষ টাকা পরিচালনা কমিটি বরাবর প্রদান করেন। দ্বিতীয় কিস্তির বাকী ৪০লক্ষ ৫০হাজার টাকা দেওয়ার ২৫/১১/২০ইং তারিখ আসলে ডাককারী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মানবিক কারণ দেখিয়ে বাকী টাকা আগামী ১০/০১/২০২১ইং তারিখে বাকী ৪০ লক্ষ ৫০হাজার টাকা দেওয়ার জন্য ঘোনা পরিচালনা কমিটির সভাপতি/সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। তার আবেদনের পেক্ষেতি সভাপতি/সেক্রেটারি সার্বিক বিবেচনায় ১৫/১২/২০ইং তারিখে ২য় কিস্তির ৪০লক্ষ ৫০হাজার টাকা দেওয়ার লিখিত ভাবে তারিখ নির্ধারণ করে দেন।
এর মধ্য ডাককারী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহলের সাথে যোগসাজশ করে ১৩লক্ষ ৫০হাজার টাকা কম দেওয়ার জন্য মওকুপের একটি লিখিত আবেদন করে নাটক শুরু করেন। এর আগেও ঘোনা প্রকাশ্যেই নিলাম না দিয়ে কম টাকায় ঘোনা ইজরা নেওয়ার জন্য ঐ স্বার্থান্বেষী অনেক ষড়যন্ত্র করেন। ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে অংশীদারকে ঠকানোর জন্য ইজরাদারের সাথে মিলিত হয় বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ১৩ লক্ষ ৫০হাজার টাকা কম দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে নতুন চালিয়াতলী ঘোনার কয়েকজন অংশীদার বলেন প্রতিবছর ঘোনা ইজরা নেওয়ার পর অংশীদারকে ঠকানোর জন্য একটি কুচক্রি মহল কাজ করে। এবার যদি সেরকম হলে কোন অবস্থায় মেনে নেওয়া হবে ন
নতুন চালিয়াতলী ঘোনা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সিকদার ও সেক্রেটারি মাঃ কামাল হোছাইন চৌধুরী বলেন আইন মেনে প্রকাশ্যেই ঘোনা ইজরা নেওয়ার পর ২য় কিস্তির টাকা দেওয়ার সময় অংশীদারকে ঠকানোর জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহলের সাথে যোগসাজশ করে যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা অংশীদারেরা মেনে নেবে না। আইনগত ভাবেই ইজরাকৃত সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে সুষ্ঠু ভাবে ঘোনা পরিচালনা করার জন্য ডাককারীর নিকট অনুরোধ করেন।অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
Leave a Reply