কুতুবদিয়ায় বহু কু-কর্মের হোতা টাউট নাছিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার মোক্তার আহমদের ছেলে আতিকুর রহমানের দায়েরকৃত একটি মামলায় (মামলা নং- সি.আর ২৮৮/২০১৯ইং) গতকাল ২৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) টাউট নাছির সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বহু কু-কর্মের হোতা নাছির সহ স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী বঙ্গোপসাগরে ভুক্তভোগী আতিকের মাঝিমাল্লাদের নির্ধারিত ফাঁড়ে (সাগরে জাল বসানোর স্থান) জাল পাততে নিষেধ সহ জাল পাতলে মারধর করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গেল বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ৭ টায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ৪/৫টি বোট নিয়ে আতিক ও তার মাঝিমাল্লাদের আক্রমণ করে। সে সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি আঘাত করে বাদীর বোটের মাঝিমাল্লা জয়নাল আবেদীন, মোঃ শরীফ, নুর ইসলাম, ঝিকু, সাইফুল ইসলাম ও ছোটনকে সমুদ্রে ফেলে দেয়। অন্য জেলেদের মাধ্যমে ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে অপর ২টি বোট নিয়ে সাগরে ভাসমান মাল্লাদের উদ্ধার করতে যায় আতিক। উদ্ধার করে তীরে ফেরার পথে আবারো আক্রমণ করে ৬টি জাল ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।
মামলার আরো বাদী জানান, কৈয়ারবিল নুরানিয়া বালিকা মাদ্রাসার নাইটগার্ড নাছির উদ্দিন সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসা, জলদস্যুদের সাথে গোপন আঁতাত সহ সর্বদা থানার নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি সহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে চলেছে। দ্বীপের অনেকে টাউট নাছিরের হয়রানির শিকার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কৈয়ারবিল নুরানীয়া বালিকা মাদ্রাসার সুপার জাকের হোছাইন জানান, নাছির উদ্দিন ওই মাদ্রাসার দফতরী পদে চাকুরী করেন।সাংবাদিক কিনা তা তিনি জানেন না।
উল্লেখ্য, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নাজির পাড়ার মৃত শাকের হেছাইন প্রকাশ সাহেব মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিন কুতুবদিয়ার কুখ্যাত জলদস্যু হামিদ হাছান ও আমির উদ্দিনের বড়ভাই। জলদস্যু হামিদ হাছানের বিরুদ্ধে অন্য থানা ছাড়াও কুতুবদিয়া থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক (জি.আর ৮২/১৭, জি.আর ৮৩/১৭, জি.আর ৫৫/১৯) তিনটি মামলা রয়েছে এবং আমির উদ্দিনের বিরুদ্ধেও কুতুবদিয়া থানায় একাধিক (জি.আর ৮৯/১৯, জি.আর ৯/২০) মামলা রয়েছে। অদৃশ্য কারনে তারা কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।
Leave a Reply