গুণীর গুণকীর্তনে দ্বীপবর্তিকা।
রবিবার। সন্ধ্যা ৭টা। দ্যা কিচেন রেস্টুরেন্ট মুখর হয়ে উঠেছে একঝাঁক সম্ভাবনাময়ী তারুণ্যে। সবার মুখে হাসি। ভাবে মধু। এরা প্রত্যেকেই দ্বীপবর্তিকার সদস্য। শিক্ষার উন্নয়নে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ করে যাওয়ায় এদের উদ্দেশ্য বলে জানি। অহেতুক জড়ো হয়ে সময় নষ্ট করার মতো কষ্ট করা এদের উদ্দেশ্য হতে পারে না। এ আমার বিশ্বাস। বলা চলে, তাদের দ্বারা সম্পাদিত কাজের পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাপ্ত বিশ্বাস।
আরেকটু কাছে গিয়ে নিবিড়ভাবে উদ্দেশ্য আবিষ্কার করার চেষ্টা করলাম। কুয়াশা কেটে রবির আলোর মতো দ্যুতিময় হতে থাকে আয়োজন। উদ্দেশ্যটা ধীরে ধীরে আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে ওঠে। সদ্য অ্যাপলে নিয়োগ পাওয়া নুরশেদুল মামুনকে অভিনন্দন জানাতেই তাদের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন। নুরশেদুল মামুন একজন শিক্ষাবিদ। ব্যাপক অর্থে বলা চলে, একজন বাংলাদেশ। অ্যাপলে যোগ দেয়ার এ পূর্বকালীন সময়টুকু তিনি কাটিয়েছেন আগামী দিনের তরুণদের বিনির্মাণে। চুয়েটের শিক্ষার্থীদের কাছে এ এক পরিচিত নাম। এ অধ্যাপকের উপস্থিতিতে তাদের মাঝে যে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে, তা আমাদের সম্ভাবনাময়ী প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে নিঃসন্দেহে।
সময় গড়াচ্ছে আপন নিয়মে। খালি আসন গুলো ভরে যাচ্ছে স্পর্শে। অতিথিমঞ্চে একে একে যুক্ত হলেন ইঞ্জিনিয়ার মীর মোশাররফ হোসেন, জনপ্রিয় শিক্ষক আব্দুল হান্নার স্যার, জননন্দিত মোশাররফ স্যার, নৌ কমান্ডার আসিফ আদিল স্যার সহ অনুষ্ঠানের মধ্যমণি নুরশেদুল মামুন স্যার। এরা প্রত্যেকেই দ্বীপবর্তিকার উপদেষ্টা। স্বক্ষেত্রে স্বমহিমায় দীপ্তমান। সফল ব্যক্তিদের অনন্য উদাহরণ। সফল ব্যক্তিত্ব সৃষ্টির কারিঘর। তাদের উপস্থিতিতে তরুণদের দৃষ্টি চিলের মতো সজাগ, জানার স্পৃহা হরিণের কর্ণের মতো খাড়া হলো।
উপদেষ্টারা শোনালেন তাদের জীবনের গল্প। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আজকের অবস্থানের গল্প। বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উদারচিত্তে জানিয়ে গেলেন সম্ভাবনাময়ী তরুণদের কর্ম প্রশংসা ও তাদেরকে ঘিরে প্রত্যাশার কথা। আর দিয়ে গেছেন জীবন ঘনিষ্ঠ উপদেশ।
অত্র সংগঠনের সভাপতি মীর মোঃ জাহেদুল ইসলাম শোনালেন তার অনুভূতির কথা। গুণীজনের ভিড়ে গুণীর কদরে পুলক বোধের কথা। সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বিনয়ের সাথে জানালেন, উপদেষ্টাদের আলোয় সমধিক আলোকিত হওয়ার প্রত্যয়বোধের কথা। ইতিবাচকতার কথা।
সূর্যের অস্ত যাওয়ার পরবর্তী রবিবারের এ সন্ধ্যা রবি’র বিদায়েও হয়ে উঠেছিল রবিময়। দ্বীপবর্তিকার আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান গুণীজনদের উপস্থিতিতে সৌরভ ছড়িয়েছে প্রতিটি মুহূর্তে।
দ্যা মোরাল অফ দ্যা স্টোরি— “যে দেশে গুণীর কদর করা হয়, সে দেশে গুণীর জন্ম হয়। উত্তরোত্তর বিকাশ হয়।”
Leave a Reply