গত ১৪ ডিসেম্বর ‘দৈনিক কক্সবাজার’ পত্রিকা ও বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত “৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি কুতুবদিয়ার পিংকির” শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমাকে ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে বাস্তব ঘটনা গোপন রেখে সংবাদকর্মী ভাইদের মনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করানো হয়েছে। সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আসলে বাস্তব ঘটনা হলো, আমি বর্তমানে কক্সবাজার সরকারী কলেজের ডিগ্রী (বিবিএস) প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত আছি। বিগত ২০১৭-২০১৮ সালে কুতুবদিয়া সরকারী কলেজে পড়ার সময় এনামুল হকের মেয়ে তৎসময়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া রুমানা আফরোজ পিংকীকে ১ মাস প্রাইভেট পড়িয়েছিলাম। সে সুবাধে এনামুল হক পিংকীর সাথে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি তাকে বুঝিয়ে বলি যে, এখনো আমার পড়াশুনা শেষ হয়নি তাছাড়া পিংকী আমার ছাত্রী এ বিয়ে সম্ভব নয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে পিংকীকে জোর করে বিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন তিনি। পরে এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল আমি চট্টগ্রাম থেকে কুতুবদিয়া যাওয়ার পথে পেকুয়ার মগনামা গাড়ি স্টেশনে জনৈক এখলাছ নামে এক ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে আমাকে বেড়িবাঁধ দিয়ে ২০/২৫ গজ উত্তর দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই ওৎপেতে থাকা এনামুল হক ও তার ছেলে মেহেদী হাসান বাপ্পাসহ কয়েকজন লোক এসে আমাকে মারধর করে আমার ব্যবহারের ফোনসেট কেড়ে নেয় এবং ১০০ টাকা মূল্য মানের অলিখিত ৩টি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে। যার নং- ০৩১৮৮৬২, ০৩১৮৮৬৩, ০৩১৮৮৬৪। পরবর্তীতে জোরপূর্বক সিএনজিতে তুলে চকরিয়া উপজেলার বি.এম.চর মুসলিম নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার মাওলানা মোহাম্মদ আবু তৈয়বের অফিসে নিয়ে আরো কয়েকটা স্বাক্ষর আদায় করে ছেড়ে দেয়। পিংকী গত ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় সে জিপিএ ৩.২২ পেয়ে পাস করেছে। তার মার্কসীট এবং স্কুলের প্রত্যয়ন পত্রে জন্ম তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০০৪ ইংরেজী। সে সূত্রে তার বর্তমান বয়স ১৬ বছর। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে কাবিননামা সৃজন করায় গত বছর কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের আদালতে ফৌজদারী কার্য্যবিধির ৯৮ ধারামতে ৩টি ষ্ট্যাম্প ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে সংক্রান্ত কাবিননামা উদ্ধারের জন্য মিচ মামলা দায়ের করেছি। যার নং- ১২৮০/২০১৯ইং। পত্রিকায় আমার পরিবার পিংকীদের কাছ থেকে ৩লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেছে এবং দেড়লক্ষ টাকা দিয়েছে মর্মে সংবাদে প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু যৌতুক দাবী তো দুরের কথা তার সাথে আমার কোনদিন বৈবাহিক সম্পর্ক পর্যন্ত হয়নি এবং তাকে কখনো আমাদের বাড়ীতে তুলে আনা হয়নি। সংবাদে আরো দাবী করা হয়েছে আমি তাকে গুম করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি কিন্তু বিভিন্ন বিশ্বস্ত মাধ্যমে খবর পাচ্ছি সে তার জনৈক প্রেমিকের সাথে গোপনে বিয়ে করে বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সে সাথে এ সংবাদে বিভ্রান্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনেুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
মোঃ শাহীন, পিতা- ফরিদুল আলম
সাং-দক্ষিণ ধূরুং (ধূরুং কাঁচা), কুতুবদিয়া, কক্সবাজার।
Leave a Reply