আরিফুল ইসলাম টিপু, হোয়ানক
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়েন, মাঝের পাড়া গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা দেখার কেউ নাই, পড়ে আছে জনপ্রতিনিধি শূন্য হয়ে।
উক্ত রাস্তাটি পরিদর্শন করে দেখা যায়, বড়ছড়া ব্রিজ থেকে রাস্তাটি শুরু হয়ে থেমেছে পাড়ার পশ্চিমে গিয়ে। রাস্তার কোথাও কোথাও ইটের চিহ্ন দেখাগেলেও বেশির ভাগ রাস্তা ভাঙ্গা এবং কাদামাটি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইট রাস্তার মাঝখানে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।
জানা যায়, এই রাস্তা দিয়ে পান, লবন, হালচাষি সহ মাছের প্রজেক্টের লোক চলাচল করে দৈনিক কয়েক হাজার। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রিদেরও কষ্টের সীমা থাকেনা।
স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাঝেরপাড়ার চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি এমন বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় কয়েক বছর। নির্বাচনের সময় রাস্তা মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন চলে গেলে তাদের আর কোন খবর থাকেনা। এ নিয়ে এলাকাবাসী কয়েকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে বিষয়টি অবহিত করলে মেরামত করে দেওয়ার অাশ্বাস দিলেও এখনো কোন মেরামত করা হয়নি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামালের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তাটি তিনি নিজে গিয়ে দেখে এসেছেন এবং যতদ্রুত সম্ভব আগামি টেন্ডারে রাস্তা মেরামত করে দেওয়ার কথা জানান।
স্থানীয় বায়োবৃদ্ধ আজিজুর রহমান জানায়, তিনি মাগরিবের আজান দিলে মসজিদে নামাজ পড়তে আসার সময় রাস্তার মাঝখানের গর্তে পড়ে কোমরের ব্যাথায় আর মসজিদে এসে নামাজ আদায় করতে পারেনা, চেয়ার নিয়ে বাসায় নামাজ আদায় করতে হয়। তিনি আরো জানান রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে আরো অনেক বায়োবৃদ্ধ লোকজন মসজিদে এসে নামাজ আদায় করতে আশঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতবছর ঈদের ছুটিতে স্থানীয় ছাত্রফোরামের উদ্যোগে রাস্তাটি মেরামত করা হলেও এ বছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের কারণে এবং পানি সম্প্রসারণের পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা না থাকায় রাস্তাটি আবার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে দুর্দশায় পড়তে হয়েছে এলাকাবাসীকে। তারা আরো জানান রাস্তার এমন দশার কারণে এলাকায় কোন গাড়ি ডুকতে চাইনা, বায়োবৃদ্ধ বা কোন রোগিকে হাসপাতালে নিতে হলে কুলে করে মেইন রোডে নিয়ে যেতে হয়।
এতে এলাকাবাসী মাননীয় এমপি মহোদয় ও উপজেলা পরিষদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আশুদৃষ্টি ও দ্রুত পর্যবেক্ষণ করে রাস্তাটি মেরামত করে দেয়ার আকুল আবেদন জানানন।
Leave a Reply