শাহেদ ফেরদৌস হিরু, কক্সবাজার।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালামের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ করোনাকালীন সময়ে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যস্ততার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শুধু খাস জমি নয়, দখল করেছেন নাফিতখালী খাল,নিধন করেছে প্যারাবন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনার সুযোগে ইসলামপুরের নাপিতখালী মৌজার কৈলাসের ঘোনা সংলগ্ন ১ নং খতিয়নের প্রায় ৩০ একর জায়গা দখল করেছে। দখল করতে গিয়ে প্যারাবনের লক্ষাধিক গাছ নিধন করেছে। গুরুত্বপূর্ণ খাল দখলে নেয়ায় লবন সরবরাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জমি দখল করলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তাছাড়া দখল ধরে রাখতে রাতে পাহারা দেন শতাধিক অপরাধী।
দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানান, নাপিতখালী মৌজার সরকারী ৪ নং সিটের ১ নং খাস খতিয়ানের দাগ নং ৩২৪৭, ৩২৪৮ এর প্রায় ৩০ একর জায়গা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলেরা জানিয়েছেন, আবুল কালাম চেয়ারম্যান ৬০ ফুট খালের মাত্র ১০ ফুট রয়েছে। যেখানে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনানিপাত করতে হচ্ছে। তারা জানান, চেয়ারম্যানের দখলকৃত স্থানের পাশেও মাছ ধরতে গেলে তার লালিত অপরাধীরা হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগীরা এ প্রতিবেদককে জানান, চেয়ারম্যানের ৭/৮ জনের একটি গ্রুপ জমিটি দখল করেছেন। অথচ খাস জমি ছাড়াও ১৪/১৫ জনের প্রস্তাবিত জমিও দখল করে নিয়েছেন। যা নিয়ে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গছে, আবুল কালাম ইসলামপুরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর পাহাড় কাটা, বনের জায়গা, শ্রমিকের বেতন আত্মসাৎসহ নানান অনিয়মের মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। তার অনিয়ম নিয়ে মুখ খুলে হত্যার হুমকি, অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে পুলিশে দেয়ার হুমকির অভিযোগ অহরহ।
যদিও প্যারাবন কেটে খাল দখল ও সরকারি খাস জমি দখলের বিষয়ে অস্বীকার করে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম।
কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার মোক্তার সরকারি জমি দখলের বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়ে বলেন, আপনার কাছ থেকে জেনেছি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply