নিজস্ব প্রতিবেদক, মহেশখালী
সাগরের কুল ঘেষে অবস্হিত ধলঘাটার হামিদখালী স্লুইচগেইট বন্ধ করার কারণে উক্ত ইউনিয়নের প্রধান সড়কটির একাংশ ও বহু বসত বাড়ী পানিতে ডুবে রয়েছে।যার কারণে লোকজন চলাচলে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণীয় দুর্ভোগ। নতুন ঘোনার উপর দিয়ে শরইতলা খাল ঘোনার পানি যেতে না দেয়ায় ঐ এলাকা সহ সড়কটির চরম বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়নটি বঙ্গোপ সাগরের কুল ঘেষে অবস্হিত। এ ইউনিয়নের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে নাসির মুহাম্মদ ডেইল টু সাপমারাডেইল সড়কটি।কিন্তু এ ইউনিয়নের পশ্চিমের পানি চলাচলের জন্য একমাত্র রয়েছে হামিদখালী স্লুইচ গেইট।এ স্লুইচগেইট সংলগ্ন বনজামিরা ঘোনাটি বর্ষা মৌসুমের জন্য ইজারা দেয়া হয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে।উক্ত ঘোনা ইজারা দেয়ার সময় স্লুইচগেইট টি উন্মুক্ত রাখার জন্য কথা ও রয়েছে।কিন্তু ইজারাদার তা তোয়াক্কা না করে স্লুইচ গেইট টি তার দখলে রাখায় সুতুরিয়া বাজার ও পার্শ্ববতী বাড়ী ঘরের ময়লা -অাবর্জনা মজিদ কোম্পানীর পরিচালনা ধীন শরইতলা খাল ঘোনার পানি এখন দুষিত হয়ে পড়েছে।পানি থেকে বের হচ্ছে গন্ধ। মরে যাচ্ছে মাছ ও।তা ছাড়া উক্ত ঘোনার পানির কারণে ডুবে রয়েছে সুতুরিয়া বাজার থেকে উক্তর সুতুরিয়া পর্যন্ত সড়কটি।এ ছাড়া ডুবে রয়েছে বহু বসতবাড়ী। লোকজন চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই।
এলাকার লোকজন জানান, নতুন ঘোনার ইজারাদারের একগুয়েমীর কারণে এ অবস্হা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে শরইতলা খাল ঘোনার ইজারাদার মজিদ কো: জানান,নতুন ঘোনার ইজারাদার তৌহিদ গং তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবী করে আসছেন।তা না দেয়ায়, শরইতলা খাল ঘোনার পানি নি:স্কাশনের জন্য যে পলবোর্ড রয়েছে তা বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে তার বহু টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো জানান,রাস্তাটি শুঁকিয়ে যাওয়ার জন্য সামান্য পানি নি:স্কাশনের ব্যবস্হার উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করলে ও তৌহিদ গং তা রক্ষা না করায় লোকজন চলাচলে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
এদিকে নতুন ঘোনার ইজারাদার তৌহিদ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোরবানের আগ পযর্ন্ত পানি চলাচল করে আসছে।তিনি ইচ্ছে করে কোরবানের আগে পানি চলাচল না করে কোরবানের গরুর বর্জ্য,পচা খড়খুট ইত্যাদি দিয়ে পানি গুলো বিষাক্ত করে রেখেছে। এখন যদি তার প্রজেক্টের পানি আমার ঘোনা দিয়ে চলাচল করে আমার ঘোনার ক্ষতি হলে এর দায় নিবে কে? আমি এলাকার মানুষের স্বার্থে পানি চলাচলের পক্ষে তাছাড়া এতদিনও পানি চলাচল করে আসছিল। তা চেয়ারম্যানকে ও জানিয়েছিলাম। তাছাড়া তার ঘোনার পাশে রাস্তার পূর্বপাশে আরেকটি প্রজেক্ট আছে সে ঘোনা দিয়ে পানি চলাচল করতে পারে, কিন্তু তার ঘোনার ক্ষতি হবে বলে সেদিকে পানি চলাচল করে না। এখন যদি সে আমার ঘোনা দিয়ে পানি চলাচল করতে চাই তাহলে আমার ঘোনার ক্ষতি হলে তার দায়িত্ব নিতে হবে।
এ বিষয়ে জানার জন্য চেয়ারম্যান কে ফোন করলে ফোনটি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সন্ভব হয়নি।
এদিকে মহেশখালী ঊপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান,জনগনের স্বার্থ ক্ষতি হয় এমন কিছুই করা যাবে না।তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেন নি।অভিযোগ পেলে ব্যবস্হা নেব।া
Leave a Reply