মোঃআরফাতুল ইসলাম,চট্টগ্রামঃ
লোক জনমুখে শুনছি বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। আমি ও জানতাম আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা। পাড়া প্রতিবেশিরা ও বলত তুমি বীরের সন্তান।তখন মনে মনে আমি গর্ববোধ করতাম।আমি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এর চেয়ে আর বড় পাওয়া কি হতে পারে।এখন নিজেও বয়ঃসন্ধিকালের শেষ প্রান্তে,দেখ দেখতে ৫১টি বছর কেটে গেল, জানি না কতটুকু হয়াতের বাজেট রেখেছেন রাব্বুল আলামীন।
শেষ বয়সে এসেও মিলেনি সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা।
তিনি বলেন,আমার শ্রদ্বেয় পিতা একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির সনদপত্রটি পরিবারের সদস্যদের কাছে না থাকায় আমরা এতদিন নিশ্চুপ ছিলাম।কুণ্ঠিত মনে
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসেবে সমাজে পরিচয় দিতে পারলেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির সনদপত্রটি খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত ভরাক্রান্ত হৃদয়ে কষ্টের দিনযাপন করে ছিলাম এবং সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত ছিলাম।যা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক বলে আমি মনে করি।
সাংবাদিক হাসান মুকুলের জীবন সূচনার নতুন অধ্যায়ের প্রথমারুপ।সমাজহিতৈষী হাসান মুকুল, দীর্ঘ বছর পর,এখন নতুন পরিচয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সর্বজন শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তি-যোদ্ধা মুহাম্মদ নুরুল আলমের সুযোগ্য সন্তান হাসান মুকুল।
চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন মেখল গ্রাম থেকে উঠে আসা হাসান মুকুল বেসরকারি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে উত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও গণমানুষের কল্যাণে কখনো সরবে, কখনো নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উত্তর চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম নগরীর সাধারণ মানুষের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, জাতীয়তাবাদী ধারার তরুণ অবিভাবক এবং নিষ্ঠাবান সমাজহিতৈষী।
চট্টগ্রামের সিনিয়র গণমাধ্যম কর্মী হাসান মুকুল দৈনিক দিনকালের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও তিনি সাম্প্রতিক সময়কালে সারা দেশে সাড়া-জাগানো কিন্ডারগার্টেন স্কুল উন্নয়ন আন্দোলনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের অগ্রসারির নেতা।
গত ৪ আগষ্ট ২০২০ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁদের বাড়ীতে একটি ছোট-খাটো দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়। এর জের ধরে বাড়িতে সংরক্ষিত পুরান কাগজপত্র তল্লাশির সময় মুক্তিযোদ্ধা খেতাবের সরকারী সনদপত্রটি পাওয়া যায়। সনদপত্রটি মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক শেখ ফজলুর হক মনি স্বাক্ষরিত।
Leave a Reply