নজরুল ইসলাম, কুতুবদিয়াঃ
৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেয়া হয়েছে কুতুবদিয়া পারাপার ঘাট। আগামী ১১ জুলাই হতে কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত। কোন নৌকায় পরিবহন করা যাবে না ৩০ জনের অধিক যাত্রী। এক ঘন্টার পূর্বে ৩০ জন পূর্ণ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে নৌকা ছেড়ে দিতে হবে। আবার ৩০ জন পূর্ণ না হলেও এক ঘন্টা পর পর নৌকা ছাড়তে হবে। এমন শর্ত দিয়ে ঘাট পারাপারের ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘাট পারাপার স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন।
বৃহষ্পতিবার (৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জিয়াউল হক মীরের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে আরও রয়েছে, একটি নৌকার রিজার্ভ ভাড়া ৮০০ টাকা। যাত্রীসহ সকলকে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌকায় উঠতে হবে। যাত্রীগণ নৌকায় উঠার সময় নৌকার মালিকপক্ষ যাত্রীদেরকে অবশ্যই স্যানিটাইজার দিয়ে স্প্রে করবেন।
এছাড়া যারা অন্য জেলা হতে কুতুবদিয়ায় আসবেন তাদেরকে কুতুবদিয়ার স্বার্থে নিজ উদ্যোগেই করোনা পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত ঘরে অবস্থান করতে হবে।
সিদ্ধান্তসমূহ শুধু মাত্র করোনাকালীন/পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউএনও জিয়াউল হক মীর বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্তরের সচেতন নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জরুরি সভা আহবানের মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জনগণের কল্যাণে উপজেলা প্রশাসন সদা নিবেদিত। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করুন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, এসিল্যান্ড মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, থানার ওসি একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী, প্রকল্প কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র দাস, ডা. রেজাউল হাসান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র রুদ্র, উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নুরুচছাফা, সমাজ সেবা কর্মকর্তা আমজাদ খান, ইউপি চেয়ারম্যান আসম শাহরিয়ার চৌধুরী, জালাল আহমদ, ছৈয়দ আহমদ চৌধুরী, আক্তার হোসেন, আ.ন.ম শহীদ উদ্দিন ছোটন, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক হাছান কুতুবী, অর্থ সম্পাদক এম.এ মান্নান, বড়ঘোপ-মগনামা ঘাট ইজারাদার আবুল কালাম আজাদ সহ অন্যান্য ঘাটের ইজারাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply