আজ ২৯ জুন সোমবার দুপুর ৩ টার সময় মহেশখালী উপজেলা সদর থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে গাড়ী করে যাচ্ছিল কালারমারছড়া নিজ গন্তব্যের দিকে দৈনিক পূর্বকোণ ও সিপ্লাস টিভির প্রতিনিধি হোবাইব সজীব। তার সঙ্গী হিসেবে ছিলাম আমি আর কয়েজন সহকর্মী। পথিমধ্যে উপজেলার কালারমারছড়া নোনাছড়ি বাজার অতিক্রম করতে গিয়ে হোবাইব সজীবের চোখে পড়ল একটি ৬ বছরের ফুটফুটে শিশু কন্যা অল্প কিছু কচুর লতি নিয়ে করুন মুখে বসে আছে। শিশু মেয়েটির মায়াবি চাহানি আর করুন চেহারা দেখে এগিয়ে গেলান তিনি তার পাশে। তার কথা হলে সে জানাল তার পিতার অভাব অনটনের সংসার। তার পিতা উপজেলার কালারমারছড়া নোনাছড়ি পশ্চিম পাড়া গ্রামের বুদিনিবর জয়নাল আবেদীনের শিশু কন্যা মোবারকা সোলতানা (৬)। পড়া লেখা করে স্থানিয় নোনাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্ভাবত প্রথম শ্রেণীতে। কিন্তু এ বয়সে শিশুটি লেখা পড়ার ফাঁকে ফাঁকে তার বাবা মা’কে ক্ষেত কামারে কঠিন শ্রম দিয়ে পরিবারে সহযোগিতা করে। হতদরিদ্র এ সংসারে বাড়ির উঠানে এক টুকরা জমিতে কচু ও শাক সবজি ক্ষেত করে কোন মতো খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছেন।
সোমবার শিশু মেয়েটি ক্ষেতের ২ কেজি কচুর লতি নিয়ে নোনাছড়ি বাজারে আসে বিক্রয় করার জন্য। কিন্তু বর্তমান সময়ের কচুর লতির চাহিদা তেমন না থাকায় কেউ শিশু মেয়েটির কচুর লতির দিকে যায়নি। তাই শিশুটি তার তরকারি বিক্রি হবেনা চিন্তা করে তার চেহারায় অসহায়ত্বের চাপ ফুটে উঠে। ঠিক সে মুর্হুতে আমি শিশুটির পাশে গিয়ে দাম জানতে চাইলাম। তখন একটি লজ্জিত হয়ে জানাল সব কচুর লতি ৪০ টাকা কিন্তু তরকারি না কিনে আমি তার সমপরিমাণ কিছু নগদ অর্থ তাকে দিয়ে শিশুটিকে সংবাদকর্মী হোবাইব সজীব জানাল এ তরকারি গুলি এখন আমার। কিন্তু আমি নিতে সমস্য হবে বিদায় তোমাকে দিয়ে যাচ্ছি। তরকারী গুলি অন্য কাউকে বিক্রি করবে না পারলে ও বাড়ী না গিয়ে রান্না করবা।
নোটঃ এ সমস্ত মানুষদের বিক্রি করতে আসা তরকারি আমরা দরদাম না করে সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
Leave a Reply