পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় শশুর পেটালেন পুত্রবধূকে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওই নারী ও তার শিশু পুত্রসহ ২ জনকে উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।
ঘটনার জের ধরে উত্তেজিত লোকজন প্রবাসীর বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। গত ৩ দিন ধরে বাড়ি তালাবদ্ধ থাকায় প্রবাসীর স্ত্রীসহ ৭ সদস্যের পরিবারটি বাড়ি ছাড়া হয়েছে।
খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আইনগত প্রতিকার পেতে প্রবাসীর স্ত্রী শাশুড়, শাশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় ৮ জুন দুপুরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
ওসি জানান, পুলিশ পাঠানো হবে। বিষয়টি তদন্তের পর বলা যাবে। ৫ জুন বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বুধামাঝিরঘোনায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী হাছিনা আক্তার (২৮)। তার ছেলে রাজাখালী ইয়ারআলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র মো: পারভেজ (১৪)।
স্থানীয় সুত্র জানায়, টাকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ওই এলাকার মৃত মোজাহের আহমদের ছেলে মশরফ আলী ও পুত্রবধূ গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী হাছিনা আক্তারের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এর সুত্র ধরে শাশুড় মশরফ আলী পুত্রবধূ হাছিনা আক্তারকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। মাকে উদ্ধার করতে ছেলে ১০ম শ্রেনীর ছাত্র পারভেজ ওই স্থানে যায়। এ সময় মা, ছেলে ২ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
হাছিনা আক্তার জানান, আমার স্বামী দেশে নেই। শাশুড় ১ লক্ষ টাকা ধার চান। আমি টাকা দিতে না পারায় গালিগালাজ করে মারধর করে। টিনের ছাউনিতে ইটপাটকেল মারে। ৪ দিন আগে থেকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
স্কুল ছাত্র মো: পারভেজ জানায়, বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ৪ দিন আমরা ঘর থেকে বাইরে আছি। খাওয়া দাওয়া ও থাকা কষ্টদায়ক হয়েছে।
গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো: ফারুক জানায়, আমরা ৭ জন বাড়ি ছাড়া পথে ঘাটে অবস্থান করছি। গায়ে দেওয়ার জন্য জামা কাপড়ও পাচ্ছিনা। ঘর তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
মশরফ আলী জানান, আমি কিছুই মানিনা। শুধু এ টুকু বলব আমার জায়গায় এদেরকে থাকতে দেবনা।
ইউপি সদস্য আবু ছৈয়দ টুকু জানান, আমরা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি। তালা খুলে দিতে বলেছি। কিন্তু কেউ কারও কথা শুনতে রাজি নন।
Leave a Reply